হযরত সুরেশ্বরী ক্বিবলা কা’বার পবিত্র রওজা মোবারক সম্মুখে সংলগ্ন
পূর্বপার্শ্বে চারিপাশ খোলা ছোট্ট ঘরের মধ্যে যে দুইটি বৃহদাকৃতির পাথর
দেখিতে পাওয়া যায় ইহাই জীবন্ত পাথর মোবারক। বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী
হযরত শারফীন শাহ্ (রাঃ) এর রওজা মোবারকে জিয়ারত করিতে গেলে সেইখান হইতে
তিনি তাঁহার পাঞ্জাবীর পকেটে করিয়া এই পাথর দুইটি আনিয়াছিলেন। কালক্রমে
শরীর বৃদ্ধি পাইয়া পাথর মোবারকদ্বয় বর্তমানে বৃহদাকার ধারণ করিয়াছে।হযরত
জালাল নূরী (রাঃ) আফিআনহু এর মুরীদ স্বণামধন্য কবি ও গীতিকার জনাব
সিরাজুলইসলাম প্রথম যেইবার দরবার শরীফে আগমন করেন (তখন তিনি মুরিদ হন নাই)
সেইবার গভীর রাতে সুরেশ্বরী বাবার রওজা মোবারকে জিয়ারত করিবার মানসে গেলে
তিনি বিশেষ এক রকমের জিকিরের আওয়াজ শুনিতেছিলেন। চারিদিকে তিনি অত্যন্ত
মনযোগ সহকারে আওয়াজের উৎস খুজিতে লাগিলেন। কিন্তু কোথাও ইহার সন্ধান
পাইলেন না। হঠাৎ পাথর মোবারকের দিকে দৃষ্টি যাইতেই তাহার সর্বাঙ্গ শিহরিয়া
উঠিল। তিনি স্পষ্টই বুঝিতে পারিলেন যে এই জায়গা হইতেই জিকিরের আওয়াজ
আসিতেছে। তিনি আরও নিকটবর্তী হইলে বিশেষ জিকিরের ধ্বণি আরও পরিস্কার হইয়া
গেল। অতঃপর তিনি ভয় বিহ্বল চিত্তে পাথর মোবারকের গায়ে তাহার হাত দুইটি
দ্বারা স্পর্শ করিলেন, সমগ্র স্বত্তা দিয়া তিনি অনুভব করিলেন যে পাথর
মোবারক দুইটি জিকিরের তালে তালে থির থির করিয়া কাপিতেছে (সোবহানাল্লাহ্)।
ইহা ছাড়াও পাথর মোবারকের অসংখ্য কারামত প্রকাশ পাইয়াছে।
দরবার শরীফে
আগত আশেক ও ভক্তগণ তাহাদের রোগ-শোক, বালা-মছিবত হইতে পরিত্রান পাইবার
নিমিত্তে পাথর মোবারকের গায়ের ধুলি শরীরে মাখিয়া থাকে, ভক্তি ভরিয়া
চুম্বন করিয়া থাকে, কাঁচা দুধ দ্বারা গোসল দেয় এবং তৈল মালিস করিয়া
থাকে। ইহাতেই আল্লাহ্র ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ করে।

No comments:
Post a Comment